কালো বরফ : শৈশব রূপায়ণে জাদুবাস্তবতা
Keywords:
কানিজ ফাতেমা বর্ণাAbstract
সারসংক্ষেপ: মাহমুদুল হক বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের আলোচনায় নির্বিকল্পভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস কালো বরফ-এর পাঠ বিশ্লেষণে জাদুবাস্তব অনুষঙ্গসমূহ কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা নির্ণয় করা বর্তমান আলোচনার মূল লক্ষ্য। এরূপ অন্বেষণের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে উপন্যাসটির শিরোনাম। 'কালো বরফ’ তথা ‘ব্ল্যাক আইস’ শব্দবন্ধটি শীতপ্রধান দেশের নগর-ঘনিষ্ঠ একটি ধারণা যা বছরের তুষারপাত শুরুর পূর্বলগ্নে পিচঢালা রাস্তার ওপর হিম-জমা রংহীন অতিস্বচ্ছ ও পাতলা বরফের আস্তরণে পরিণত হওয়াকে নির্দেশ করে। এগুলোর রং নেই বলেই রাস্তার পিচের কালো রংকেই নিজের করে নেয়; কালো না হয়েও জাদুকরী আবহে দৃষ্টিগ্রাহ্য হয় ‘কালো বরফ’ হিসেবে। আলোচ্য উপন্যাসে আবদুল খালেকের জীবনপথও কি তার ফেলে আসা স্বচ্ছ ক্ষণভঙ্গুর শৈশবস্মৃতিমাখা পোকাজীবন-জাত জাদুর আবরণ দিয়ে ঢেকে রাখা আছে? পোকা না হয়েও যে-জীবন পোকার মতো!- এই জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজতে গিয়ে কালো বরফ উপন্যাসে জাদুবাস্তব তথা ম্যাজিক্যাল রিয়ালিজমের বিভিন্ন অনুষঙ্গের উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ কারণেই বর্তমান আলোচনায় শিল্পতাত্ত্বিক প্রকরণ-উপায় হিসেবে জাদুবাস্তবতা মাহমুদুল হকের কালো বরফ উপন্যাসের ন্যারেটিভে কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা হবে