বিদ্যাসুন্দরের কবি: দ্বিজ শ্রীধর কবিরাজ ও সাবিরিদ খান
Keywords:
বিদ্যাসুন্দর কাহিনী, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, চোর-পঞ্চাশিকাAbstract
সুপরিচিত বিদ্যাসুন্দর কাহিনী অবলম্বনে বাংলা ভাষায় অনেক কৰি পাঁচালী বা গীতি-নাট্য রচনা করেছেন। এ কাহিনীর উদ্ভব সম্বন্ধে আজ্যে মতানৈক্য বর্তমান। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বররুচি নামক কোন কবিকে বিদ্যাসুন্দর কাব্যের (সংস্কৃত) আদি রচয়িতা বলে মেনে নিয়েছেন, অবশ্য তিনিও এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ নন। তিনি বিশ্বাস করেন, — “বিদ্যাসুন্দরের গোড়া কিন্তু গুজরাটের অনহিল পত্তনে ইংরেজী ১১ শতকে। সেখানে বিল্হন নামে একজন কাশ্মীরী পণ্ডিত রাজার মেয়েকে লেখাপড়া শিখাইতেন, ক্রমে তাঁহাদের প্রণয় সঞ্চার হয় এবং আরও কিছু সঞ্চার হয়। রাজা টের পাইয়া তাহাকে মারিয়া ফেলিবার আদেশ করেন। সেই সময় তিনি ৫০টি কবিতা রচনা করেন। সেই পঞ্চাশটি কবিতার নাম “চোর-পঞ্চাশিকা।”
অধ্যাপক শৈলেন্দ্রনাথ মিত্রও বররুচিকে বিদ্যাসুন্দর কাব্যের আদি রচয়িতা সাব্যস্ত করেছেন। এ কাব্যের কতগুলো শ্লোকের সঙ্গে জীবানন্দ বিদ্যাসাগর সংকলিত ‘কাব্য-সংগ্রহে'র তৃতীয়খণ্ডে ধৃত বিদ্যাসুন্দর উপাখ্যানের শ্লোকগুলোর মিল আছে। আবার উক্ত কাব্য সংগ্রহের ১ম খণ্ডের চৌর পঞ্চশিকা এবং ৩য় খণ্ডের খণ্ডিত বিদ্যাসুন্দর কাহিনীর শ্লোকগুলো একত্র সংগ্রথিত হয়ে ইশানচন্দ্র ঘোষের প্রকাশনায় ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে 'বিদ্যাসুন্দর' গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কবি রামপ্রসাদের গ্রন্থাবলীর সম্পাদক নন্দলাল দত্ত ভূমিকায় একটি সংস্কৃত 'বিদ্যাসুন্দর' গ্রন্থের উল্লেখ করেছিলেন। উক্ত গ্রন্থের বিষয়বস্তু অধ্যাপক মিত্রের বিদ্যাসুন্দর উপাখ্যানের অনুরূপ।