সভাপতির ভাষণ
Abstract
মাননীয় সভাপতি সাহেব, উপস্থিত সুধীজন ও আমার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত অধ্যক্ষ মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী এবং অধ্যাপক আনোয়ার পাশ। বক্তৃত৷ মালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্মরণ করছি সেই সব বরণীয় শিক্ষাবিদ এবং সাহিত্যিকদের যাঁদের শ্রম, যত্ন, ত্যাগ ও তিতিক্ষায় আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ বর্তমান গৌরবজনক স্থানে উপনীত হয়েছে। বিভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রতি বৎসর এঁদের স্মরণে তাঁদের সাহিত্য কর্ম এবং জীবনাদর্শের আলোচনামূলক বক্তৃতা মালার আয়োজন করবে।
আজকের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে নত মস্তকে, অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে স্মরণ করছি মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী এবং আনোয়ার পাশাকে যাঁদের নিয়ে ক'দিন আগেও বাংলা বিভাগে আমরা ছিলাম এক। যাঁদের মুখের কথা নিয়ে আমরা কথা বলেছি, যাঁদের ভালবাসা পেয়ে গর্ববোধ করেছি, যাঁদের দুঃখ ও বেদনায় নিজেরা ব্যথিত হয়েছি আজ নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে তাঁরা দূরে চলে গেছেন৷ বাংলা বিভাগে আর তাঁদের পায়ের ছাপ পড়বেনা, তাঁদের কণ্ঠ থেকে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য শুনবে না আর তাঁদের ছাত্ররা, স্নেহ-প্রীতির উচ্ছসিত আবেগে পূর্ণ হয়ে উঠবেন না আর বিভাগীয় অধ্যক্ষের কক্ষে অধ্যাপকবৃন্দ। অসময়ে আপন জন হারাবার বেদনায় আজ আমরা মূক। আজ কিছুক্ষণের জন্যে তাঁদের সান্নিধ্যকে ফিরে পাবার জন্যেই এ স্মৃতিচারণ। প্রতি বছর নবাগত ছাত্র ছাত্রীদের সামনে ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই, অধ্যক্ষ মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশার পরিচিতি এমনি করেই বিভাগ তুলে ধরতে প্রয়াসী হবে। যাঁদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনত৷ অর্জিত হয়েছে, বাংল৷ বিভাগের অধ্যাপকরূপে যাঁরা মাতৃ-ভাষার মান রাখতে গিয়ে মাতৃভূমিতে রক্তরঞ্জিত হয়ে আত্মদান করেছেন তাদের স্মৃতি অমরতা লাভ করুক এ কামনাই করি।