মধু সাধুখাঁ : জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে
Abstract
অমিয়ভূষণ মজুমদারের মধু সাধুখাঁ (প্রপ্র. ১৩৭৫ বঙ্গাব্দ, এপ্র. ১৯৮৮) উপন্যাসে বণিক মধুর যে আভিযাত্রিক জীবন রূপায়িত হয়েছে, সেখানে জীবন-মৃত্যুর দোলাচল প্রতিধ্বনিত। উপন্যাসে মধু প্রবলভাবে জীবনবাদী হলেও সেই প্রাবল্যে মৃত্যুর ঘ্রাণ জড়িয়ে আছে। মধুর পূর্বসূরিদের জীবনেতিহাসে স্বপ্নায়ুর আধিক্য তার ভেতর জন্ম দিয়েছে এমন এক দর্শনের, যে দর্শন থেকে সে উপলব্ধি করেছে, কোনোভাবেই 'পুরুষ জীয়ে না।' পুরুষের জীবনের নানা অনুষঙ্গ তাকে বাঁচতে দেয় না। মধুও তেমনই এক পুরুষ, যার অনিশ্চিত বর্ণিকজীবন জুড়ে টিকে থাকার লড়াই আর মৃত্যুর অনিশ্চয়তা ছায়া ফেলে। মধুর চেতনায় বর্তমান আর অতীত জুড়ে খেলা করা মৃত্যুর মিছিল ফ্রয়েড কথিত জীবন-এষণা আর মৃত্যুর অনিশ্চয়তার মতো আপাত বিপরীত অনুষঙ্গ চিহ্নিত করে দেয়। উপন্যাসে মধু আর ফিরিঙ্গি রালফ্ ফিচ্ দুই ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন দেশের মানুষ হয়েও তাদের ভেতর বেঁচে থাকার প্রবল ভূ ষ্ণা আর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ফুরিয়ে যাবার গাঢ় ভয় মানবপ্রবৃত্তির সর্বজনীন ভাবনা হিসেবে উপন্যাসে অভিন্নতা লাভ করেছে। বর্তমান প্রবন্ধ মধু সাধুখাঁ উপন্যাসে রূপায়িত মধুর প্রবল জীবন-এষণার পাশাপাশি তার জীবনের অনিশ্চয়তা এবং ভীষণ মৃত্যু-অনুষঙ্গের রূপচিত্র বিশ্লেষণে সচেষ্ট।